December 22, 2024, 3:04 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
যশোর শিক্ষা বোর্ডে আরও আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এই অর্থও একইভাবে আত্মসাত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ দুদকে আরও একটি অভিযোগ দাখিল করে।
যেখানে বলা হয়েছে, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম বর্তমান চেয়ারম্যান মোল্লা আমীর হোসেন সচিব থাকাবস্থায় এসব জালিয়াতি করেছেন। মোট পাঁচ কোটি টাকা চেক জালিয়াতি করে তুলে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের ২১ আগস্ট বিজনেস আইটি নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে আয়কর বাবদ ১২ হাজার ২৭৬ টাকা তুলে নেওয়া হয়। একই সালের ৪ অক্টোবর শহরের জামে মসজিদ লেনের নূর এন্টারপ্রাইজের নামে ৫৯ হাজার ৩৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল মেসার্স খাজা প্রিন্টিং প্রেসের নামে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ টাকা ও নিহার প্রিন্টিং প্রেসের নামে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৫৩০ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এভাবে ৯টি প্রতিষ্ঠানের নামে আরও ২ কোটি ৪৩ লাখ ৭ হাজার ৮৭৮ টাকা তুলেছেন হিসাব সহকারী আবদুস সালাম। একই সঙ্গে সেকশন অফিসার আবুল কালাম আজাদের নামে ৯৪ হাজার ৩১৬ টাকা ও আবদুস সালামের নিজ নামে ২৫ লাখ ৮০ হাজার ১০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা বোর্ডের হিসাব ও নিরীক্ষা বিভাগের উপপরিচালক এমদাদুল হক জানান, আরও প্রায় আড়াই কোটি টাকার চেক জালিয়াতির প্রমাণ পওা গেছে। দুদকে ২১ অক্টোবর আরও একটি অভিযোগ জমা দেয়া হয়েছে ব্েযল তিনি জানান। দুদক বিষয়টি খতিয়ে দেখবে।
দুদকের যশোর কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. নাজমুচ্ছায়াদাত বলেন, আরও প্রায় আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ পেয়েছি। এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের তা খুঁজে বের করা হবে।
যশোর শিক্ষা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদও্র আড়াই কোটি টাকা জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, ১৮ অক্টোবর দুদক আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করে। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের সহকারী পরিচালক মাহফুজ ইকবাল বাদী হয়ে এই মামলা করেছেন। ওই মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোল্লা আমীর হোসেন, সচিব অধ্যাপক এএম এইচ আলী আর রেজা, হিসাব সহকারী আবদুস সালাম, প্রতারক প্রতিষ্ঠান ভেনাস প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের মালিক শরিফুল ইসলাম বাবু ও শেখহাটী জামরুলতলার শাহী লাল স্টোরের মালিক আশরাফুল আলম।
জানা গেছে, মামলার পর ওই দিন রাতেই চেয়ারম্যান ও সচিব তাদের বাংলো থেকে বের হয়ে যান। এরপর তারা কেউ অফিসে করেননি।
Leave a Reply